Description
মধু একটি নির্ভেজাল খাদ্য। আর লিচু ফুলের মধু অনেক টেস্টি মধু হিসেবে পরিচিত। দেখতে অনেকটা কাচের মত সচ্ছ হয়। খেতে মজাদার বলে এই মধু সবার কাছেই অনেক প্রিয় ( honeylove )। যারা স্বাস্থ্য সচেতন চিনি খেতে চাইছেন না তারা শরবতে চিনির বিকল্প হিসেবে এই মধু ব্যবহার করতে পারেন।
মধুর উপকারিতাঃ
১. মধুতে এন্টি-অক্সিডেন্ট আছে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
২. জ্বর, ঠান্ডা, সর্দি, কাশি শারাতে মধু অনেক উপকারী।
৩. মেধাশক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
৪. ত্বক সুন্দর ও স্বাস্থ্যজ্জল করে।
৫. নিয়মিত মধু খেলে ঘুমের ভাল কাজ করে।
৬. রক্তশূন্যতা সারিয়ে রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ায়।
৭. হজমশক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
৮. মধু মাথা ব্যাথা কমাতে সাহায্য করে।
৯. ব্রনের দাগ সারিয়ে তুলে।
১০. পোড়া বা ক্ষত স্থান দ্রুত সারিয়ে তুলে।
১১. যাদের গ্যাস্ট্রিক অথবা আলসার আছে তাদের জন্য মধু অনেক উপকারী।
১২. মধু ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে৷
১৩. রক্তে ব্লাড গ্লুকোজ লেভেলের সমতা করে।
১৪. রক্তে খারাপ কোলেস্টরেল এত মাত্রা ঠিক রাখে।
মধু ফ্রিজে রাখার বিকল্প:
- ঘরের তাপমাত্রায় মধু সংরক্ষণ করা সবচেয়ে ভালো।
- শুষ্ক ও ঠান্ডা জায়গায় মধু রাখুন।
- আলো থেকে দূরে মধু রাখুন।
- কাঁচের বয়ামে মধু সংরক্ষণ করুন।
- বয়ামের মুখ ঢেকে রাখুন
- মনে রাখবেন: মধু গরম করা উচিত নয়। কারণ, বেশি গরম করলে মধুর পুষ্টিগুণ নষ্ট হতে পারে।
- প্লাস্টিকের পাত্রে মধু সংরক্ষণ করা উচিত নয়। কারণ, প্লাস্টিকের রাসায়নিক মধুর সাথে মিশে যেতে পারে।
সর্বোপরি, মধু ফ্রিজে রাখা উচিত নয়। ঘরের তাপমাত্রায় মধু সংরক্ষণ করলে তা দীর্ঘ সময় ভালো থাকবে।
মধু ফ্রিজে রাখলে কয়েকটি সমস্যা দেখা দিতে পারে:
১. স্ফটিকায়িত হয়ে যাওয়া: মধুতে প্রাকৃতিকভাবেই গ্লুকোজ থাকে। ঠান্ডা পরিবেশে, এই গ্লুকোজ স্ফটিক তৈরি করে, যার ফলে মধু জমাট বেঁধে যায়।
২. গুণাগুণ হ্রাস: ঠান্ডা তাপমাত্রা মধুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অন্যান্য পুষ্টিগুণের কার্যকারিতা কমিয়ে দিতে পারে।
৩. স্বাদ ও গন্ধে পরিবর্তন: ফ্রিজে রাখলে মধুর স্বাদ ও গন্ধে পরিবর্তন আসতে পারে।
৪. ব্যবহারে অসুবিধা: জমাট বেঁধে যাওয়া মধু ব্যবহার করা কঠিন হতে পারে।
তাই মধু ফ্রিজে রাখা উচিত নয়। বরং, মধু শুষ্ক ও ঠান্ডা (১৫-২০°C) স্থানে কাঁচের বয়ামে ঢাকনা দিয়ে আঁটসাঁট করে সংরক্ষণ করা উচিত।
মধু সংরক্ষণের কিছু টিপস:
- কাঁচের বয়াম ব্যবহার করুন।
- বয়ামটি ঢাকনা দিয়ে আঁটসাঁট করে বন্ধ করে রাখুন।
- শুষ্ক ও ঠান্ডা (১৫-২০°C) স্থানে সংরক্ষণ করুন।
- সূর্যের আলো থেকে দূরে রাখুন।
- ভেজা চামচ ব্যবহার করবেন না, কারণ এতে পানি মিশে মধু নষ্ট হতে পারে।
মধুতে সাধারণত যেসব ভেজাল মেশানো হয় তার মধ্যে কয়েকটি হলো:
চিনি: এটি সবচেয়ে সাধারণ ভেজাল। চিনি মেশালে মধুর পরিমাণ বেড়ে যায় এবং এর দামও কম হয়। কিন্তু এর ফলে মধুর পুষ্টিগুণ অনেক কমে যায়।
গ্লুকোজ: গ্লুকোজও মধুতে ভেজাল হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এটি মধুকে পাতলা করে এবং এর স্বাদও পরিবর্তন করে।
শিরা: গুড় বা চিনির শিরা মধুতে মেশালে মধু ঘন দেখায়। কিন্তু এটি মধুর পুষ্টিগুণ নষ্ট করে।
পানি: পানি মেশালে মধুর পরিমাণ বেড়ে যায়। কিন্তু এটি মধুকে পাতলা করে এবং এর স্বাদও নষ্ট করে।
কৃত্রিম মিষ্টান্ন: কৃত্রিম মিষ্টান্ন মেশালে মধুর মিষ্টি স্বাদ বৃদ্ধি পায়। কিন্তু এটি শরীরের জন্য ক্ষতিকর।
অন্যান্য: এছাড়াও, মধুতে রং, সুগন্ধি, এবং অন্যান্য রাসায়নিকও মেশানো হতে পারে।
মধু কেনার সময় সতর্কতা:
- খোলা মধু না কেনাই ভালো। বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বোতলজাত মধু পাওয়া যায়। বোতলজাত মধু কেনার সময় ব্র্যান্ড এবং মধুর বিশুদ্ধতা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে নিন।
- মধুর দাম খুব কম হলে সন্দেহ করা উচিত। কারণ, খাঁটি মধুর দাম বেশি হয়।
- মধু কেনার আগে মধু সম্পর্কে ভালো করে জেনে নিন।
মধুতে ভেজাল থাকলে ক্ষতি:
- মধুর পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়।
- শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
- মধুর স্বাদ ও গন্ধ নষ্ট হয়।
ল্যাবরেটরি পরীক্ষা:
- সবচেয়ে নির্ভুল উপায় হলো ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করা।
কিছু টিপস:
- মধু কেনার সময় বিক্রেতার কাছে মধুর উৎস সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করুন।
- স্থানীয় মৌমাছি পালনকারীদের কাছ থেকে মধু কিনতে পারেন।
- বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মধু পাওয়া যায়। ব্র্যান্ড সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে মধু কিনুন।
তাই, মধু কেনার সময় সতর্ক থাকুন এবং খাঁটি মধু কিনুন। মধু সংগ্রহের ভিডিও দেখতে
Reviews
There are no reviews yet.